বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাণ্ডারিয়া হরিনপালা এলাকায় বাকি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক স্যানিটারী ব্যবসায়ী ও তার পরিবারদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় ব্যবসায়ীকে মারধর করে তুলে নিয়ে দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেপ্রতিপক্ষরা।
এতে আহত হলেন মির্জা মশিউর রহমান লাকসু (৫০) তার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার সুমি (৩০) ও মে লাবিবা আরফি (৭)। পরবর্তীতে এ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার শিউলি ও আহত বাবা মির্জা গোলাম সরোয়ার দুই ঘন্টা পর প্রতিপক্ষের বাড়ি থেকে মির্জা মশিউর রহমান লাকসু কে উদ্ধার করে।
তবে এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ির সাত বছরের ছোট মেয়ে লাবিবা আরফি গুরুতর জখম হয়ে বর্তমানে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহিলা অর্থপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর দের টার দিকে প্রতিপক্ষ নাসির দফাদার লোকজন নিয়ে এসে সেনেটারী ব্যবসায়ী মির্জা মশিউর রহমান লাকসুর কাছে ১২ টি পিলার বাকি চায়। এ সময় মশিউর রহমান লাকসু, বাকি দিবেনা বলে জানায় এবং পুরনো বাকি টাকা ফেরত চায়।
আর এতে নাসির দফাদার ক্ষিপ্ত হয় এবং মশিউর রহমান লাকসুকে কে দেখিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে নাসির দফাদারের ছেলে নাদিম, সাদ্দাম,ও মামুনসহ ৮-১০ জন লোক আচমকা এসে মির্জা মশিউর রহমান লাকসুর দোকানে প্রবেশ করে এবং তাকে মারধর শুরু করে।
এ সময় মির্জা মশিউর রহমান লাকসু কে তার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার সুমি ও মেয়ে লাবিবা আরফি ছাড়াতে গেলে তাদেরও মারধর করে। এবং মেয়ে লাবিবা আরফি কে ধরে তুলে ছুড়ে মারে। এতে লাবিবা আরফির বাম পা গুরুতর জখম হয়। এবং মির্জা মশিউর রহমান লাকসু কে মারধর করে গাড়ির পাওদানিতে শুয়ে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় নাসির দফাদারের বাড়িতে।
সেখানে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় মির্জা মশিউর রহমান লাকসুকে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে মঠবাড়িয়ার এ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার শিউলি ও আহতর বাবা মির্জা গোলাম সরোয়ার, নাসির দফাদার বাড়িতে ছুটে গিয়ে তাকে সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে মশিউর রহমান লাকসু স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় এবং মেয়ে লাবিবা কে মঠবাড়িয়া তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আহত লাবিবা আরফির পায়ের অবস্থার অবনতি দেখলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বর্তমানে আহত লাবিবা আরফি শেবাচীমের অর্থপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।